চেনার উপায়:

(লক্ষণ/উপসর্গ):

১.ঠোঁট, জিহ্বা, মাড়ি ও গালের ভেতরের দিকে হয়

২.সাধারণত পৃষ্ঠস্থ বা অগভীর হয়ে থাকে

৩. গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়ে থাকে

৪. সাধারণত ১০ মি.মি. এর চেয়ে ছোট হয়, তবে কখনও কখনও এর চেয়ে বড়ও হতে পারে।

৫.এর রঙ হালকা হলুদ বা সাদা, কিন্তু এর চারপাশ ফোলা ও লাল হয়

৬.এতে কম-বেশী ব্যথা হয়, খাবার খেতে গেলে জ্বালাপোড়া হয়

৭.একসাথে ১-৬ টি হতে পারে

৮. ৫-৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়

৯.১-৪ মাস পরপর হতে পারে

১০.সাধারণত সেরে যাওয়ার পর কোন স্কার বা দাগ থাকে না।

কারণ:

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ জানা যায় না, তবে কখনও কখনও এটি নিম্নলিখিত কারণসমূহের কোনটির জন্য হয়ে থাকে:

১.আঁকাবাকা, ধারালো বা ভাঙা দাঁতের কামড়

২.আয়রন, ভিটামিন বি১২ বা ফলিক এসিড এর অভাব

৩.মহিলাদের মাসিকের আগে, মেনোপজের পরে

৪.মানসিক চাপ বা উদ্বিগ্নতা

৫.কোন কোন ওষুধ যেমন- এন্টি ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস, নিকোটিন থেরাপি(ওরাল) ইত্যাদির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

৬.এলার্জি

৭.বংশগত

৮.বিভিন্ন রোগ, যেমন-সিলিয়াক ডিজিজ, ক্রন’স ডিজিজ, এইচ আই ভি /এইডস, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি।

পরামর্শ:

১.দৈনিক সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করুন

২.মুখ ও জিহ্বা সর্বদা পরিষ্কার রাখুন

৩.প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন

৪.পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন

৫.অধিক মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না

৬.মাঝে মাঝে লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়াসহ কুলি করুন

৭.মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন

৮.ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন

৯.পান যদি খেতেই হয় জর্দা ছাড়া খাবেন

১০.দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।

চিকিৎসাঃ

১.টপিকাল এন্টি ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট যেমন-এমলেক্সানক্স ৫% ওরাল পেস্ট (Amlexanox 5% Oral paste) যা বাজারে এপসল (Apsol), এমলেক্স (Amlex) ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়, দৈনিক ৩/৪ বার ক্ষতস্হানে ব্যবহার করুন

২. আকাঁবাঁকা দাঁত কিংবা ধারালো,ভাঙা দাঁতের কামড়ের কারনে ঘাঁ সহ, মুখগহ্বরের যাবতীয় চিকিৎসার জন্য একজন ডেন্টাল ডিগ্রিধারীর ডক্টরের শরনাপন্ন হোন।

Leave a Comment